আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন?
সবাই ঈদ উদযাপন করলেন কেমন? অনেকেই গতকাল কুরবানী করেছেন, হয়তো আজকেও কিছু কিছু জায়গায় কুরবানী করা হবে। যারা যারা কুরবানি করেছেন আল্লাহ তায়ালা যেন তাদের কুরবানী কবুল করে নেন।
আমার পক্ষ থেকে সকলের জন্য দাওয়াত রইলো।
এরা যারা রয়েছে তারা সবাই আধুনিক সমাজে কোরবানি করে মানে এরা শহরে কোরবানি করে গ্রামে কোরবানি করে না। তাদের বোঝা উচিত গ্রামের মানুষ যারা দরিদ্র তারা বছরে শুধু একবার কোরবানি ঈদের গোশত খেয়ে থাকে কিন্তু তাদেরকে যদি এই কোরবানির গোস্ত থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। আমি বলবো না আমার দেখা বেশ কয়েকজন আমাদের সমাজের বন্টন নীতি নিয়ে আপত্তি করেছে এমন কি বলেছে আমাদের সমাজে নাকি বেশিরভাগ মাংস রেখে দেওয়া হয়। মানে একটা গরু কোরবানি করলে তার অর্ধেক মাংস সমাজে রেখে দেওয়া হয় যার কারণে অধিকাংশ আভিজাত্য শ্রেনীর যারা রয়েছে তারা আমাদের সমাজে কোরবানি করতে চান না।
আসলে হাদিস কোরআনে কোরবানির মাংস বন্টন করা নিয়ে সরাসরি উল্লেখ নেই যে ৩ ভাগে ভাগ করতে হবে। তবে গত শুক্রবার আমাদের এখানের এক খতিব বয়ানে বললেন, যে কোরআনে আয়াত অনুযায়ী মহান আল্লাহ তা'আলা বলেছেন তোমরা নিজেরা খাও, অভাব দুঃখী মানুষদের খাওয়াও এবং আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশীদের দাও, তাই ৩ ভাগে ভাগ করাটা হলো মুস্তাহাব। তাই সমাজে যে ভাগটা দেওয়া হয় তা হলো অভাব দুঃখীদের ভাগ, তাই সমাজে এক ভাগ রাখাই ভালো, আমাদের এলাকায় সকল যায়গায় তিন ভাগের এক ভাগ সমাজে রাখা হয়।
আমার এই বিষয়ে মাথায় কিছু যায় না, দেখবেন মাতব্বর শ্রেণীর লোক, যারা সপ্তাহে সপ্তাহে গরুর মাংস খেয়ে থাকে তারাও কিন্তু গরিব-দুঃখীদের জন্য রেখে দেওয়া সমাজের মাংস থেকে ভাগ নেন, এটা আমাদের এলাকায় ঘটে আমি অন্যান্য এলাকায় খবর জানি না। আমি তো দেখি কুরবানীর দিন সমাজের সবাই গরিব দুঃখী অভাব গ্রস্থ লোক, সেদিন ধনী লোক থাকে না, যারা কুরবানী দেয় তারাও আবার সমাজ থেকে মাংস নেয়। আল্লাহ সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুক।