আপনি একটি কয়েন দিয়ে ট্রেডিং করবেন। বাট সেই কয়েন এর বাজার বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিং টেকনিক্যাল এনালাইসিস কিভাবে বের করবেন। আর মূলত আমি জানতে চাই টেকনিক্যাল এনালাইসিস আমরা কিভাবে বুঝতে পারবো আর টেকনিক্যাল এনালাইসিস আমাদের ট্রেড করার জন্য কতটুকু ভূমিকা পালন করবে
সাধারণত পুজিবাজার বা ফরেক্সে ৩ ধরণের এনালাইসিস বিদ্যমান রয়েছে, যেমন: ১. ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস, ২. টেকনিক্যাল এনালাইসিস এবং ৩. সেন্টিমেন্টাল এনালাইসিস।
কোন একটি শেয়ারের বাজার দরের পরিবর্তন, অতীত ইতিহাস, গতি প্রকৃতি ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে শেয়ারটির ভবিষ্যৎ সম্ভাব্য দর কেমন হতে পারে তা অনুমান করাকেই মূলত টেকনিক্যাল এনালাইসিস বলে।
1 টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর উপকারিতা এবং সীমাবদ্ধতা কি?
1.1 টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর সুবিধা সমূহ:-
1.2 টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর সীমাবদ্ধতা:-
1.3 টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ: চার্টের ধরন
1.4 Candlestick চার্টের সুবিধাগুলো কি কি ?
টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর উপকারিতা এবং সীমাবদ্ধতা কি?
টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর সুবিধা সমূহ:-
(১). বাজার বা শেয়ারের মুভমেন্ট বুঝতে সাহায্য করে: বাজার বা শেয়ারের ট্রেন্ড অর্থাৎ উর্ধ্বমূখী, নিন্ম মুখী নাকি সমান্তরাল তা বুঝতে সাহায্য করে।
(২). এন্ট্রি ও এক্সিট পয়েন্ট নির্ধারণ: শেয়ার বাজারে ইচ্ছেমত শুধু ক্রয় বিক্রয় করলেই মুনাফা হয় না। মুনাফা পেতে হলে বিনিয়োগকারীকে সঠিক সময়ে এন্ট্রি এবং সঠিক সময়ে এক্সিট দিতে হয়; কেন্ডেলস্টিক, চার্ট প্যাটার্ন, মুভিং এভারেজ ইত্যাদির সমন্বয়ে যা একমাত্র টেকনিক্যাল এনালাইসিসের মাধ্যমেই সম্ভব।
(৩). দ্রুত এবং অপেক্ষাকৃত কম খরচ: ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস করতে সকল কোম্পানির ডাটা সংগ্রহ করে তা এক এক করে দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা বেশ সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়-বহুল বটে, পক্ষান্তরে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের মাধ্যমে খুব কম সময়ে বাজারের সামগ্রিক চিত্র এবং সকল শেয়ারের তথ্য বিশ্লেষণ করা যায় কম সময়ে এবং তা ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসের তুলনায় বেস সস্তা বটে।
টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর সীমাবদ্ধতা:-
(১). পূর্বাভাষ নির্ভুল নয়ঃ টেকনিক্যাল এনালাইসিস বাজার বা শেয়ারের পূর্বাভাষ জানতে ব্যাবহার হয়ে থাকে। প্রায় সকল ইন্ডিকেটর সম্ভাব্য এন্ট্রি এবং এক্সিট পয়েন্ট দেখালেও তা শতভাগ সঠিক পূর্বাভাষে মিলে না। অনেক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য এন্ট্রি দেখানোর পর শেয়ারের দাম কমে আবার বিপরীতে সম্ভাব্য এক্সিট দেখানোর পর বাজার দর বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
(২). টেকনিক্যাল ইনডিকেটর গুলো সিগনাল প্রদর্শনে অভিন্নতা নেইঃ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় একটি ইনডিকেটর বাই সিগনাল দেখাচ্ছে তো আরেকটি ইনডিকেটর সেল সিগনাল দেখাচ্ছে ফলে ট্রেডারদের হর হামেশাই দেখা জায় সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগতে।
(৩). পক্ষপাতদুষ্ট মতামত: টেকনিক্যাল এনালিস্টদের প্রায় দ্বিমত করতে দেখা যায়, এক বা একাধিক ইনডিকেটর বিবেচনায় নিয়ে একজন হয়ত মত দিলেন এখন ক্রয় করার সময় কিন্তু আরেকজন মত দিলেন হয়ত এখনই এক্সিট বা সেল করার মোক্ষম সুযোগ।
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ: চার্টের ধরন
টেকনিক্যাল এনালাইসিস এ সাধারণ ৪ ধরনের চার্ট ব্যবহার হার হয়ে থাকে, যেমন লাইন চার্ট, বার চার্ট, ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট এবং পয়েন্ট ও ফিগার চার্ট।
পয়েন্ট এন্ড ফিগার চার্ট: প্রাথমিক যুগে যখন টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর সফটওয়্যার গুলি ছিল না তখন শুধুমাত্র শেয়ার দরের উপর ভিত্তি করে X ও O দিয়ে এক ধরনের ড্রইং করা হত- এটাকেই পয়েন্ট এন্ড ফিগার চার্ট বল হয়।
লাইন চার্ট: এটি একটি বেসিক চার্ট কারণ এতে নির্দিষ্ট দিন/ সময়ে কোন নির্দিষ্ট শেয়ারের ক্লোজিং দর দেখায়।
বার চার্ট: লাইন চার্টের সাথে কোন নির্দিষ্ট দিনে শেয়ারের প্রারম্ভিক বা ওপেনিং দর, ক্লোজিং বা সমাপনী দর মিলিয়ে বার চার্ট তৈরি হয়ে থাকে।
ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট: বার চার্টের আধুনিক সংস্করণ হল ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট। বার চার্টের ভার্টিকেল ও হরাইজন্টাল লাইন যোগ করে এবং ক্লোজিং দরের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রঙের সমন্বয়ে এটি তৈরি হয়ে থাকে। ওপেনিং দরের তুলনায় ক্লোজিং দর বেশি হলে ক্যান্ডলের রঙ সবুজ অথবা সাদা হয় আর বিপরীতে ওপেনিং এর চেয়ে ক্লোজিং দর কম হলে ক্যান্ডেল কালো অথবা লাল হয়ে থাকে। প্রায় ৩০০ বছর আগে সর্ব প্রথম এটি জাপানে ব্যবহার হওয়াতে কেউ কেউ একে জাপানিজ ক্যান্ডেলস্টিক ও বলে থাকেন ।
আমি আশাবাদী আপনি তা জানতে চান কিছু হলেও বুঝাতে পেরেছি।[/size]