বাংলাদেশে ৪০ লাখ ক্রিপ্টো ব্যবহারকারী মানে অনেক বেশি। আপনাদের কি মনে হয়? বাংলাদেশে কি আসলেই এত পরিমান ক্রিপ্টো ব্যবহারকারী আছে?
৪০ লাখ ব্যবহারকারী অনেক মনে হলেও আমার ধারণা এর থেকেও বেশি ব্যবহারকারী বাংলাদেশে রয়েছে। আমার চেনা কয়েকটি এলাকা রয়েছে (নাম উল্লেখ না করাই ভালো) যেখানে কয়েক হাজার ক্রিপ্টো ব্যবহারকারী আছে। তাছাড়া ক্রিপ্টো যেহেতু বাংলাদেশে অবৈধ, সব ব্যবহারকারীর ডাটাবেজ সঠিক ভাবে পাওয়া যাবে না।
বৈধ এবং অবৈধ এর বেপারে আরও কিছু বলা যাক। ২০২১ সালের প্রথম আলোর পত্রিকার প্রতিবেদন হয়তো অনেকেই দেখেছি আবার অনেকেরই অজানা।
ক্রিপ্টোকারেন্সি’র লেনদেন অপরাধ নয়, সিআইডিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিবাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের সহকারী পরিচালক শফিউল আজম ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে ব্যাংকের অবস্থান জানান সিআইডিকে। তিনি লেখেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির মালিকানা, সংরক্ষণ বা লেনদেন স্বীকৃত না হলেও এটিকে অপরাধ বলার সুযোগ নেই মর্মে প্রতীয়মান হয়।
তাহলে কি আমরা ধরে নিবো ক্রিপ্টো ব্যবহার বৈধ? না, বৈধতা আর অপরাধ নির্ভর করে এর ব্যবহারের উদ্দেশ্য/ শর্তাবলী এর উপর। উক্ত প্রতিবেদনে আরও বলা ছিলো যে
ভার্চ্যুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের ফলাফল হিসেবে দ্বিতীয় পর্যায়ে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭; সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর আওতায় অপরাধ হতে পারে।
এখন উপায়? বৈধ নাকি অবৈধ এই দোটানায় থাকার দরকার নাই। বাংলাদেশের যেই আইন ব্যবস্থা, এদের বুঝানো যাবে না। আপনার কোনো যুক্তি টিকবে না বরং ক্রিপ্টো নাম শোনা মাত্রই বিপদে পড়বেন। সুতরাং নিজের প্রাইভেসি বজায় রাখা টাই ভালো।
তো বাংলাদেশে সরকারের আইসিটি মন্ত্রণালয় কি বলে এই বিষয়ে? চলুন কিছুটা ধারণা নেওয়া যাক।
(ছবিতে সম্পূর্ণ ফাইলের লিংক দেওয়া আছে। চাইলে পড়ে নিতে পারেন)
তার মানে অর্থ পাচার, ক্রিমিনাল এক্টিভিটি সহ কিছু অবৈধ কর্মকান্ড রোধে এখনো বৈধতা দেওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া এই ক্ষেত্রে অবকাঠামো এখনো উন্নত না বাংলাদেশের।
তবে নতুন কৌশল হিসেবে 'curious-but-cautious' মেথডের মাধ্যমে কাজ চলমান। এই কৌশল নিয়ে অল্প কিছু ধারণা পেতে নিচে একটি লিংক যুক্ত করে দিচ্ছি।
(লিংক এ প্রবেশ করতে Reddit এ কিছু সময় ভিপিএন কানেক্ট করা লাগতে পারে)
curious-but-cautiousঅনেক জটিল জিনিস টা চেস্টা করেছি ছোট করে তুলে ধরতে। ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য।