তবে সমন্বয়কারীরা ৯৯% ডক্টর ইউনুসের উপর বিশ্বাস রেখেছেন এবং খুব সম্ভবত অন্তবর্তী কালীন সরকার প্রধান হবেন ড ইউনুস। তবে সেনাবাহিনী এই দেশ সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে না এটা তারা জেনে গেছে তাই অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করার ক্ষেত্রে দেরি করছে না। আবার গোলাম মাওলা রনির একটি সাক্ষাৎকার ে খুব আত্মবিশ্বাস নিয়ে ডঃ মোঃ ইউনূসের নাম উল্লেখ করেছেন। তবে বিএনপি পরবর্তী ক্ষমতায় আসবে এটাও মোটামুটি নিশ্চিত। এই মুহূর্তে অন্তবর্তী কালীন সরকার তিন মাসের অধিক সময় নেবেন না। তবে সমন্বয়কারীর একজন সারজিস আলম বিএনপির উপর অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন। অনেকেই বলেছেন আওয়ামী লীগও না বিএনপি না যে কোন একটি নতুন দল এ দেশ শাসন করবে। বিএনপি ছাড়া এই মুহূর্তে বাংলাদেশ শাসন করার মতো দল নেই তাই সেনাপ্রধানরা যদি দেশ চালনা না করে তাহলে অবশ্যই পরবর্তী শাসক হিসেবে বিএনপিকে আমরা দেখতে পাব।
যদি নতুন কোনো দল না আসে, আর আগামী ৩ মাসেই যদি নির্বাচন হয়, তাহলে বি এন পি জিতে যাবে এটা হয়তো সত্যি। তবে দেশের বেশিরভাগ মানুষ এদের কাউকেই চায় না। কারণ হাসিনা দেশ ছাড়ার সাথে সাথে বি এন পি যে তান্ডব দেখিয়েছে, তাতে বুঝাই যাচ্ছে যে এরাও দেশ লুটেপুটে খাওয়ার জন্য একদম রেডি। সারা দেশে কি পরিমান লুটপাট শুরু করেছে তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। আওয়ামীলীগ গতো ১৬ বছরে যা লুটপাট করেছে, বি এন পি ক্ষমতায় আসার ৬ মাসের ভেতরে এর দুইগুন লুটপাট করবে এটা শিওর। কোনো দলই ভালো না। তবে আওয়ামীলীগ বলেন, বি এন পি বলেন, তাদের সব দলেই কিছু ভালো লোক আছে। দেশের মানুষের উচিৎ কিছু লোক কে বাছাই করে একটা নতুন দল বানানো। যারা আসলেই দেশের জন্য কিছু করতে চায়। যদিও আওয়ামীলীগ এর কিছু ভালো মানুষ অব্দি কোটা আন্দোলনের সময় চুপ ছিলো দলীয় কারনে। কিন্তু তারা দেশের জন্য ভালো কাজ করেছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তেমন ব্যাক্তিদের মধ্যে আছে, ১। ফারাজ করিম, ২। ব্যারিস্টার সুমন, ৩। আন্দালিব পার্থ, ৪। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ৫। গোলাম মাওলা রনি সহ আরো কিছু ব্যাক্তি। এক জালিম থেকে মুক্তি হয়ে আরেক জালিমের হাতে দেশ তুলে দেয়ার কোনো মানে হয় না।