যেই মুহুর্তে বাংলাদেশের ৩.১ ওভারে ৩৯ রান নিলে সেমি ফাইনালে কোয়ালিফাই করতে পারে, সেই টাইমে আমাদের সাইলেণ্ট কিলার মাহমুদুল্লাহ একই ওভারে ৫ টি ডট বল খেললেন। এই ইন্টেন্ট দেখে কোনো ভাবে মনে হয় যে এরা সেমি ফাইনালের জন্য খেলেছে? যেখানে আপনার টপ অর্ডার রা ধুমিয়ে ব্যাট করে রান সে যায়গায় নিয়ে গেছে, এখন ৩ ওভারে ৩৯ নিলে হচ্ছে, হারলে তো বাদ পড়বেন জানেন, তাহলে এই সময়ে ডিফেন্ড করে খেলার কি প্রয়োজন ছিলো?
সাইলেন্ট কিলার এইরকম কত ম্যাচ থেকে যে আমাদেরকে বের করে দিয়েছে সেটার হিসেব খুজে পাবেন না। কারণ তিনি এইভাবেই সাইলেন্টলি আমাদের মেরে দিয়েছেন।
এইসব কারণেই আমি বাংলাদেশ দলকে এখন আর আগের মতো সামর্থন করি না। বাংলাদেশ টিম প্রতিটি ক্ষেত্রেই পিছিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ দল মাঝেমধ্যে এমন সব ম্যাচ হেরে যায়, যেগুলো দেখে মনে হয় এখন বাংলাদেশ দলের সমস্ত প্লেয়ারদের কে চাষবাসের কাজে লাগিয়ে দেওয়া উচিত, তাদের দিয়ে আর ম্যাচ জেতার আশা করা যায় না। সেমিফাইনালে ওঠার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, যে ম্যাচে কিনা তারাও জানে যে এই ম্যাচটি জিততে পারলেই তবেই তারা সেমিফাইনালে উঠে যাবে এবং হেরে গেলে আউট হবে। তারপরও তারা এমনভাবে খেললো যেন তাদের খেলার প্রতি কোন গুরুত্বই নেই।
আমাদের টপ ব্যাটসম্যানদের যে ব্যর্থতা, বরাবরের মত সেটি গত ম্যাচেও অব্যাহত ছিল, বাংলাদেশ দল বোলিংয়ে বরাবরই তার বিপক্ষের দলকে একটি ভালো স্কোরের মধ্যে আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছিল, কিন্তু ব্যাটিংয়ে তারা বরাবরই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে দিয়েছে. বিশেষ করে সাকিব আল হাসান. তাকে কোন কারনে যে অলরাউন্ডার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে সেটি আমি কোনভাবে মিলাতে পারি না. তাকে শুধু অলরাউন্ডার এর স্বীকৃতি থেকেই নয় বরং বাংলাদেশ টিম থেকে বের করে দেওয়া উচিত. মানে কি আর বলবো. গত ম্যাচে তারা এমন ভাবে পারফর্ম করেছে যেন তাদের কোন এনার্জিই নেই.
এই ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এই অল্প রান যদি তারা চেজ না করতে পারে, তাহলে এদের দিয়ে হবে টা কবে ? তারা যে আজকে সেমিতে খেলবে এই ধরনের মন মানসিকতা নিয়ে তারা মাঠে নামেনি. তাদের ব্যাটিং করার কোন অ্যাঙ্গেল বা ফিটনেস কোন কিছুই নেই, মনে হয় তাদের গায়ে কোন শক্তিই নেই. তাদেরকে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা দিয়ে ম্যাচ খেলানোর কোন লাভ নেই, এদেরকে যাই দেওয়া হোক, দিনশেষে তারা আমাদের ফলাফল এনে দিবে শূন্য.