লেখক: GazetaBitcoinমেইন টপিক: Governs' oppression of bitcoiners may turn against them
সরকার এক দশকের বেশি সময় ধরে বিটকয়েনারদেরকে অত্যাচার করছে। পৃথিবী জুড়ে সরকার রা বিটকয়েনারদের কে কোনো প্রকার সহযোগিতা না করেই তাদের কষ্ট উপার্জিত টাকা কেড়ে নিতে তাদের কাছ থেকে এক প্রকার চাদাবাজি শুরু করেছে এটা জেনে যে বিটকয়েনাররা ক্রিপ্টো ট্রানজেকশন থেকে সত্যিকারের ফিয়াট মানি আয় করে।
মানুষ কাজ করে, কাজের জন্য বেতন পায়, কিন্তু রাষ্ট্র সেটার অংশ চায়।সময়ের সাথে সাথে অত্যাচার আরো বাড়ছে। জনগণকে পে করার জন্য বাধ্য করার জন্য, বিশ্বব্যাপী সরকাররা এমন আইন প্রনয়ন করছে যা আগে ছিল না,
যা কিছু ডিসেন্ট্রালাইজড থাকার কথা ছিলো সেগুলো সেন্ট্রালাইজড করার চেষ্টা করছে। আর মানুষ, লোভে পড়ে সরকারকে চাদাবাজি করতে আরো সহযোগিতা করছে।
নিজেদের ঘর গরম রাখার জন্য এবং খাবার রান্নার জন্য প্রমিথিউস মানুষকে আগুন আবিস্কার করে দিয়েছিল, কিন্তু মানুষ সেটা ব্যাবহার করেছে প্রতিবেশীদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার জন্য। একইভাবে, কোন তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া পিয়ার-টু-পিয়ার লেনদেন করার জন্য, এবং মানুষকে সরকার এবং ব্যাংকের চাপিয়ে দেওয়া দাসত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সাতোশি জনগণকে বিনামূল্যে বিটকয়েন দিয়েছিল। কিন্তু মানুষ তাদের লোভে সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেন্জ তৈরি করেছে।
কিছু সুবিধাবাদী লোক মনে করেছিল যে তারা সেন্ট্রালাইজ্ড এক্সচেন্জ চালিয়ে বড়লোক হবেন। তাদের মধ্যে একজন চার্লি শ্রেম (
ইয়াঙ্কি (বিটইন্সট্যান্ট))। তিনি একজন তরুণ উদ্যমী, যিনি কলেজে পড়ার সময়ে বিটকয়েন এডপ্ট করেছেন। পরে তিনি BitInstant চালু করেন, যা প্রথম ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জগুলির মধ্যে একটা এবং এক সময় পুরো বিটকয়েন লেনদেনের প্রায় ৩০% সেখানেই হতো। পরবর্তীতে লাইসেন্সবিহীন মানি ট্রান্সফার ব্যবসা পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য তাকে জেল খাটতে হয়। তাকে "
বিটকয়েনের প্রথম অপরাধী"ও বলা হয়।
শ্রেমের কেস এর পর থেকে, বিটকয়েনারদের সাথে প্রশাসন আরও কঠোর হতে শুরু করে। ২০১৮ সালের এর একটা
আর্টিকেল এ জানানো হয়েছে যে
"তথাকথিত "বিটকয়েন মাভেন", যিনি লাইসেন্সবিহীন বিটকয়েন-ফর-ক্যাশ এক্সচেঞ্জ ব্যবসা এবং বিটকয়েন লন্ডারিং করার কথা স্বীকার করেছেন [...] তাকে আজ ১২ মাস এবং এক দিনের ফেডারেল কারাগারে সাজা দেওয়া হয়েছে, $20,000" জরিমানা এবং ৩ বছরের সুপারভাইজ্ড রিলিজ দেয়া হয়েছে।
ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এর পরিমান বেড়েছে এবং তাদের ইউজাররাও বিটকয়েনের মূল নীতি : পিয়ার-টু-পিয়ার/এননিমিটি/ছদ্মনাম/থার্ড পার্টি থেকে মুক্তি না বুঝেই এর বিরুদ্ধে কাজ করছে। ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের সাথে নতুন আইনও বের হয়েছে, এবং তারা তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে KYC তথ্য কালেক্ট করতে এক্সচেঞ্জকে বাধ্য করছে।
মানুষের লোভ তাদের কে কোথায় নিচ্ছে:
- এক্সচেঞ্জে তাদের টাকা রেখে ঝুকি নিচ্ছে, যেখানে তাদের প্রাইভেট কি নিজেদের কাছে নেই
- তাদের টাকার ঝুকি নিচ্ছে, যেখানে অনেক এক্সচেঞ্জ হ্যাক হয়েছে
- তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের ঝুঁকি নিচ্ছে, যেখানে অনেক এক্সচেঞ্জ হ্যাক হয়েছে এবং হ্যাকাররা গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করেছে এমনকি ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করেছে (যা এই লোকেদের জন্য আরও বেশি ঝুঁকিতে ফেলেছে, কারণ আপনি হয়তো জানেন না কখন একজন ক্রিমিনাল ডার্ক ওয়েব থেকে 1$ দিয়ে আপনার সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য কেনার পরে আপনার দরজায় উপস্থিত হবে এবং আপনার ঘরে ডাকাতি করবে)
- তাদের টাকার ঝুকি নিচ্ছে, যেখানে অনেক এক্সচেন্জ সহজেই তাদের একাউন্ট ফ্রিজ করে দিচ্ছে
- তাদের টাকার ঝুকি নিচ্ছে, যেখানে অনেক ব্যাংক তাদের টাকা ক্রিপ্টো কারেন্সি লেনদেন থেকে এসেছে এটা জানার পর একাউন্ট ফ্রিজ করে দিচ্ছে।
- তাদের টাকার এবং তাদের স্বাধীনতার ঝুঁকি নিচ্ছে, যদি তারা সরকারের জারি করা নতুন আইন না মানে।
তবুও, মাত্র কয়েকজন তাদের শিক্ষা পেয়েছে। সম্ভবত যারা জ্ঞানী ছিল এবং যাদেরকে উপরে উল্লেখ করা কমপক্ষে একটা পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে।
সময়ের সাথে সাথে, "ক্রিপ্টো আইন" আরও কঠিন এবং আরও জটিল হয়ে উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রে, আরও হাস্যকর বা আরও প্রশ্ন তৈরী করে যার উত্তর কেউ দেয়নি।
উদাহরণস্বরূপ, রোমানিয়াতে, প্রথম ক্রিপ্টো আইন ২০১৯ সালে জারি করা হয়েছিল কিন্তু, ততক্ষণ পর্যন্ত, আপনি ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার মতো ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন, যদিও কোন আইনি কাঠামো ছিল না, এমনকি ক্রিপ্টো লেনদেন থেকে আসা ফিয়াট মানি ঘোষণা না দেয়ার কারনে জেল জরিমানার ব্যাবস্থাও ছিলো। হিসাবরক্ষকরা জানতো না কিভাবে তাদের গ্রাহকদের এই আয় ঘোষণা করতে হবে এবং কর্তৃপক্ষ জানতো না কিভাবে জনগণের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আইন জারি হওয়ার পরে, ২০১৯ সালের প্রথম দিকে, বিটকয়েনারদের তাদের আগের বছরে যে লাভ হয়েছিল তার জন্য ১০% ট্যাক্স দিতে হয়েছিল। এবং, যদি তাদের প্রফিট ১২ টা মিনিমাম বেতনের চেয়ে বেশি হয়, তবে তাদের ১২ টি ন্যূনতম বেতনের পরিমাণের ১০% ট্যাক্স প্রদান করার কথা ছিল। এই সেকেন্ডারি ট্যাক্স দেওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য। আগের বছরে যাদের লস ছিল তাদের কিছুই দিতে হয়নি।
তারপরও আইনটি পরিষ্কার না। একজন মাইনার কি করবে? যদি সে আগের বছরে লাভ করে থাকেন কিন্তু যে হার্ডওয়্যার সরঞ্জামগুলি তিনি কিনেছিলেন যেগুলোর টাকা এখনো পরিশোধ হয়নি, মাইনার কি লাভে নাকি লসে? এবং সেসব মাইনারদের কি হবে যাদের কাছে তাদের হার্ডওয়্যার সরঞ্জামের বিল/চালান নেই? কেউ জানে না।
ভবিষ্যতে নতুন ট্যাক্স আসতে পারে। আরো জটিল, আরো হাস্যকর।
যাই হোক না কেন,
বিটকয়েন এমন কিছুর জন্য পরিকল্পনা করা হয়নি। এটা জনগণকে আরও কষ্ট দেয়ার জন্য বানানো হয়নি, বা রাষ্ট্রকে তার ভাগ না দিলে তাদের জেলে নেওয়ার জন্য না, এমন একটা ভাগ যেটার জন্য রাষ্ট্র কোনো অবদান রাখে নি।
যা হওয়া উচিত, সবকিছুই তার উল্টো পথে আছে।
সরকার এবং ব্যাংকগুলোকে অপ্রাসংগিক বানানোর বদলে, মিডলম্যান কে ইকুয়েশন থেকে বের করে দেওয়ার বদলে, মানুষের ব্যাবহার এসব প্রতিষ্ঠান তৈরী করেছে। এবং এখন, এ এনটিটিগুলোই উল্টো লড়াই করছে, মানুষকে আরও বেশি নিপীড়ন করছে। অথরিটির জবাবদিহি করতে প্রস্তুত থাকার জন্য সব এক্সচেঞ্জ ইউজারদের তথ্য সংগ্রহ করছে। বিটকয়েনাররা ক্রিপ্টো এক্সচেন্জগুলো হাসিমুখে ব্যাবহার করছে -- কেউ জানে না কেনো --
ফ্রিতে এবং নিজের ইচ্ছায় তাদের টাকা ও ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে দিচ্ছে। তারা আবারো হুকুমের গোলাম হয়ে ওঠার করার জন্য, ইউজার রা তাদের অ্যাকাউন্টগুলিকে এক্সচেঞ্জ এর সাথে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কানেকটেড করছে, এভাবে ব্যাংকগুলোকে ও তাদের ইচ্ছামতো ফান্ড ফ্রিজ করতে দিচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষকে তাদের তথ্য দিচ্ছে।
তারপর অনেকে তাদের ক্রিপ্টো একটিভিটি থেকে কিছু ফিয়াট মানি পেয়ে এবং খুব জটিল আইন না বুঝেই
তারা কর্তৃপক্ষের সামনে বোকা হাঁস হয়ে বসে।
যাইহোক, আমি বিশ্বাস করি যে একটা লিমিট এই সব বন্ধ করে দেবে। বিটকয়েনের এই সমস্ত ভুল ব্যবহার, সকল প্রশাসন এবং ব্যাংকের চাঁদাবাজি, ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের সকল অপব্যবহার।
এবং এমন সীমায় পৌঁছে যাবে যখন অনেক মানুষ তাদের লোভে, তাদের নির্বোধতায়, তাদের মূর্খতায় ভুগবে। যখন তাদের অনেকেরই ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকবে এবং যখন তাদের অনেকের বেশ পরিমাণে জেল খাটতে হবে। শুধুমাত্র একটা কঠোর দুর্ভোগ মানুষের চোখ খুলতে পারবে।
এবং, যখন এগুলো হবে, বিটকয়েনাররা তখন এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করা বন্ধ করবে। তারা ক্রিপ্টো একটিভিটি থেকে পাওয়া তাদের ফিয়াট ইনকাম ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা বন্ধ করবে। এমনকি কেউ কেউ ফিয়াট মানি ব্যাবহার করা বন্ধ করে দিবে। যদি এর সব কিছু হয়, তাহলে শেষ পর্যন্ত মানুষ বিটকয়েন ব্যবহার শুরু করবে যেভাবে সাতোশি তাদের জন্য তৈরি করেছে: তাদের নিজের সুবিধার জন্য, সরকার এবং ব্যাংক কে অপ্রাসঙ্গিক বানানোর জন্য, যে কোনও মিডলম্যান কে বাদ দেয়ার জন্য, তাদের ফিনান্সিয়াল লেনদেন গোপন করার জন্য, তাদের নিজের ব্যাংক হওয়ার জন্য, এক্সচেন্জকে নিজের প্রাইভেট কি হোল্ড করার পরিবর্তে নিজেই হোল্ড করার জন্য।
এবং, যখন এগুলো হবে, সরকারের করা আগের সব অত্যাচার তাদের বিরুদ্ধে কাজ করতে শুরু করবে। তারা অন্য কোনো শিকার ধরতে পারবে না কারণ তাদের আগের শিকাররা এখন জানে কিভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হয় এবং কিভাবে বিটকয়েন সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হয়।
যখন এগুলো হবে, শিকারটি নিজেই শিকারী হয়ে উঠবে।আমি জানি না এই সব বাস্তব হওয়ার আগ পর্যন্ত কতো সময় চলে যাবে। কিন্তু আমি মনে করি যে, আজ বা কাল, মানুষ বুঝতে পারবে যে তারা যথেষ্ট কষ্ট পেয়েছে এবং তারা বলবে: "যথেষ্ট!"। এবং তারা তাদের চোখ খুলবে এবং বুঝতে পারবে কিভাবে বিটকয়েন ব্যবহার করতে হয়। রাষ্ট্রের স্বার্থে না, নিজেদের স্বার্থে!